ঢাকা | রবিবার | ৩০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

রাজপথের কর্মসূচি চলবেই, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না পাওয়া পর্যন্ত: মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিব মিয়া গোলাম পরওয়ার স্পষ্ট করে বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সবার জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না হবে, ততক্ষণ রাজপথের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। তিনি অভিযোগ করেছেন, সরকারের তিন উপদেষ্টা নির্বাচন ও গণভোটের প্রক্রিয়ায় তাদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। এই কারণেই আসন্ন নির্বাচনকে যথাযথভাবে গ্রহণযোগ্য করে তুলে তুলতে গেলে নিশ্চিতভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি দরকার, যা আজও সম্ভব হয়নি বলে তিনি মনে করেন। তাই, আট দলের জোট ঘোষণা করেছে—প্রতিশ্রুত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাওয়া না পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

রোববার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সব কিছু ফর্মালভাবে বললে হবে না, যদি প্রয়োজন হয় তবে তারা তিন বিতর্কিত উপদেষ্টার নামও প্রকাশ করবেন—তাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ তার কাছে রয়েছে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার সতর্ক করে বলেন, সরকারের এখনই সজাগ হওয়া উচিত, অন্যথায় নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে পড়বে। তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসনের অনেক ক্ষেত্রেই এখনো দলের পক্ষপাতিত্ব চালু রয়েছে এবং এই পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে তিন উপদেষ্টার প্রভাব।

এই পরিস্থিতিতে, জোটের নেতারা মনে করেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে না পারা প্রধানত সরকারের দায়। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তিনি ও তাঁর দল নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে মাঠে থাকা চালিয়ে যাবেন—এ ব্যাপারে কোনো আপোস করবেন না।

জামায়াতের এই নেতা আরও জানান, তাঁদের তিনটি মূল দাবি—লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, ফ্যাসিবাদের দোষীদের বিচারের উদ্যোগ এবং প্রশাসনে দলীয় পক্ষপাতদুষ্টা বন্ধ—অপূর্ণ ছিল। এসব বিষয়ে আট দলীয় জোটের স্টিয়ারিং কমিটি পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করে ঘোষণা দেবে।

বিশ্বাস করেন, আন্দোলন ও ভোটকে কোনওভাবেই বাধাগ্রস্ত করবে না; বরং এই আন্দোলন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দ্বার আরও প্রশস্ত করবে। পাশাপাশি, তারা গণভোটের বিষয়ে নিজের অবস্থান শক্তভাবে বজায় রেখেছেন। সংবাদ সম্মেলনে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও মৌলিক সংস্কারের জন্য সমর্থন প্রকাশ করে বলেছেন, এই সংস্কারগুলো কেন জরুরি ও বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তা সাধারণ ভাষায় জনগণের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রচার ও গণমাধ্যমের প্রয়োজন। যদি এই বিষয়গুলো স্পষ্ট করা না হয়, তাহলে সাধারণ ভোটারদের জন্য এর গুরুত্ব বোঝা কঠিন হয়ে পড়বে।