ঢাকা | রবিবার | ৩০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

জোড়া সেঞ্চুরিতে রান পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ অলআউট হলো

মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস ব্যক্তিগতভাবে দুর্দান্ত রেকর্ড গড়েছেন এবং একই সাথে বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন এক নজির স্থাপিত হয়েছে। দুজনের জোড়া সেঞ্চুরির সুবাদে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪৭৬ রান। অন্যদিকে, আয়ারল্যান্ডের জন্য এই টেস্টে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন, যিনি টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ফাইফার (৫ উইকেট) লাভ করেন।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ২৯২ রান করেছিল। আজ (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দিনের শুরুতে, আগের দিন ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিকুর রহিম ১০৬ রানের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে তিনি বিশ্বের ১১তম ব্যাটার হিসেবে টেস্টে শততম ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির স্বাক্ষরে নজর কাড়েন। তাঁর এই ১০৬ রানের ইনিংসটি ২১৪ বলে খেলে ৫টি চারের সাহায্যে সাজিয়েছেন।

এরপর লিটন দাসও নিজের প্রথম ইনিংসে পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি করে ১২৮ রান করেন। এর সাথে বাংলাদেশের জন্য এটি হয়ে যায় তিনতথ্যইতিহাসে এক অনন্য কীর্তি, কারণ এটা মাত্র তৃতীয় দেশ হিসেবে টেস্টের এক ইনিংসে ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ উইকেটে ধারাবাহিকভাবে ১০০ রানের জুটি গড়তে সক্ষম হয়েছে। এর আগে, কেবল ভারত (১৯৭৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে) এবং পাকিস্তান (২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) এই রকম কৃতিত্ব দেখাতে সক্ষম হয়েছিল।

অন্যদিকে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১০৭, মুশফিক ও লিটনের পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১০৮ এবং লিটন ও মিরাজের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১২৩ রান যোগ হয়।

মুশফিক-লিটনের এই জুটি বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সপ্তমবারের মতো একশ’র বেশি রান করার রেকর্ড গড়েছে। প্রতিপক্ষের সেই বিশেষ মুহূর্তটি তখন ঘটে যখন, দলীয় ১৮ রান যোগ করার সময়, ম্যাথু হামপ্রিসের ক্যাচে পাওয়ায় মুশফিকের ১০৬ রানের ইনিংস শেষ হয়। তিনি ৫টি চারে সাজিয়েছেন এই ইনিংসটি, যা খেলেছেন ২১৪ বল। মুশফিকের এই ১৩তম টেস্ট সেঞ্চুরির মধ্যে তিনি (মুমিনুলের সঙ্গে) যৌথভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড রাখেন।

পরবর্তীতে, লিটনও খুব বেশিদিন টিকে থাকতে পারেননি। দ্রুত রান তোলার প্রচেষ্টায় তিনি হাম্প্রিসের বলে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন স্লিপে। তার ১২৮ রানের ইনিংসটি আসে ১৯২ বলের হয়ারে, যেখানে তিনি ৮ চার ও ৪ ছক্কা হাঁকিয়েছেন। শেষ দিকে ক্যামিও হিসেবে খেলেছেন এবাদত, যিনি ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ৪৭৬ রানে অলআউট।

আয়ারল্যান্ডের জন্য এবার সর্বোচ্চ কারবার করেছেন অভিজ্ঞ স্পিনার ম্যাকব্রাইন, যিনি ৬ উইকেট শিকার করেছেন। তার পাশাপাশি ম্যাথু হাম্প্রিস ও গ্যাভিন হোয়ে প্রত্যেকেই ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।