ঢাকা | রবিবার | ৩০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শাওনের দাবি, বুলডোজার নিয়ে যাওয়ার দলকে ‘রাজাকার’ আখ্যা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই মাসে অগাস্টের অগ্নিসংযোগ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের দিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আরও দুটি বুলডোজার এনে হতদরিদ্র ও রাজনৈতিক অধিকারবঞ্চিত মানুষের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ট্রাকে করে দুটি বুলডোজার নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন ওই দলের কিছু তরুণ। তাদের সঙ্গে হাতে মাইক নিয়ে উপস্থিত ছিল কয়েকজন সক্রিয় কর্মী, যারা শ্লোগান দিচ্ছিলেন। তারা জানিয়েছে, ‘রেড জুনির’ নামে এক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই বুলডোজার নিয়ে আসা হয়েছে।

অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘৩২ নম্বরের সেই বুলডোজার নিয়ে যাওয়া দলকে আমি রাজাকার বলছি। এই ধানমন্ডির বাড়িকে নিয়ে যারা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তারা আসলে বাংলাদেশের ইতিহাসের অপসরল অংশ। বারবার ভেঙে, আগুন দিয়ে এই বাড়িকে পুড়িয়ে দেওয়ার পরেও আমাদের বুকের গভীরে সেই স্মৃতি অক্ষত রয়েছে, যা কখনো ভুলে যাওয়ার নয়। এই বাড়ির প্রতিটা ধূলিকণাই বাংলাদেশের সংগ্রামের সাক্ষ্য বহন করে। রাজাকার বাহিনী, তুমি কি কখনও এর মানে বুঝবে?’

শাওন এই পোস্টে হ্যাশট্যগ হিসেবে যোগ করেছেন #তুইথরাজাকার এবং #ধানমন্ডি৩২।

এর আগে, ২০২২ সালের অাগষ্টে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করার পর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার ছয় মাস পরে, ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, ‘বুলডোজার অভিযান’ নামে এক কর্মসূচির মাধ্যমে ঐ বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়। হাজার হাজার মানুষ এই আন্দোলনে অংশ নেন, যারা বাড়ির আঙিনায় জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। রাতের অন্ধকারে ক্রেন আর এক্সক্যাভেটর দিয়ে বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু হয়, সময় দিয়ে অনুযায়ী ঐ তিন তলা বাড়ির বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়।

একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হলেও, সাধারণ ছেলেমেয়েরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেওয়ায় তারা দ্রুত সেখান থেকে সরে যায়। মধ্যরাতে মাইক থেকে গান বাজানো হয় এবং কয়েকজন নাচতেও দেখা যায়। পরবর্তীতে পুরো বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়, তবে সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্বচক্ষে অবস্থিত ছিল সেই সড়কে।