ঢাকা | রবিবার | ৩০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার এমপিদের অবস্থানে তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা

বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সংসদ সদস্যদের স্পষ্ট ও বিবেকপ্রসূত অবস্থান প্রকাশের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। শনিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

তারেক রহমান বলেন, অনেক বাংলাদেশি—যাঁরা তাদের মধ্যে আছেন—অস্ট্রেলিয়ার সংসদ সদস্যদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছেন, কারণ তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং নির্বাচনপ্রক্রিয়ার বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। তাদের এই বিবেকবান বক্তব্য আমাদের গভীর প্রত্যয় ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিফলন, এবং বাংলাদেশের মানুষ যাতে নিরাপদে ও ন্যায্যভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে, সে বিষয়ে তাদের আন্তরিক দায়িত্ববোধের প্রকাশ।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশজুড়ে অনেক নাগরিক উদ্বিগ্ন, কারণ তারা এমন একটি পরিস্থিতির প্রহরায় রয়েছেন যেখানে নির্বাচন স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং নিরাপদ হবে। তারা আশা করেন যে, নির্বাচনকালে ভয় বা বাধা ছাড়াই মানুষ তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে। এই উদ্বেগ সাধারণ জনগণের কাছ থেকে এসেছে, যারা শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও বিশ্বাসযোগ্য এক নির্বাচনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার চাচ্ছেন।

তারেক রহমান বলেন, এই সময়ে অস্ট্রেলীয় সংসদ সদস্যদের নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা করার জন্য যে আহ্বান জানিয়েছে তা বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে গভীরভাবে সংগতিপূর্ণ। এই বার্তা সেই সত্যকেই স্বীকৃতি দেয়, যা দেশের বহু মানুষ কয়েক মাস ধরে উচ্চারিত করে আসছেন—গণতন্ত্র সবসময়ই সবচেয়ে শক্তিশালী হয় যখন তা অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ ও সহিংসতা ও ভয়ভীতি মুক্ত থাকে।

তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এই উদ্বেগগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরছেন। তাঁদের অবদান ও মাতৃভূমির প্রতি অটুট টান দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে। দেশের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য তাঁদের এই প্রচেষ্টা বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন ও প্রত্যাশাকে বৈশ্বিক পর্যায়েও গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করছে।

তারেক রহমান উল্লেখ করেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ পরস্পরকে সম্মান ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অস্ট্রেলীয় এমপিদের প্রতি আমরা অন্তর থেকে কৃতজ্ঞ। তাদের এই সমর্থন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—গণতন্ত্রের অঙ্গীকার একত্রে রক্ষা করা আমাদের যৌথ দায়িত্ব। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যখন দেশগুলো একসঙ্গে দাঁড়ায়, তখন শান্তি, ন্যায় এবং অগ্রগতির পথে আরও দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যেতে পারি।’