ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

মেসির ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার স্পষ্ট বার্তা

দীর্ঘ তিন দশকের শিরোপা অপেক্ষার শেষটুকু করে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা জিতেছিল তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসির নেতৃত্বে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর থেকেই ফুটবলপ্রেমীদের মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—আরে, কি আসছে পরবর্তী বিশ্বকাপেও কি দেখা যেতে পারে এই আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে?

তারপর, এবার মেসি স্পষ্ট করে দিলেন, তিনি যদি শারীরিকভাবে পুরোপুরি ফিট থাকেন, তাহলে ২০২৬ সালে তার খেলার সম্ভাবনা বেশ শক্ত। এনবিসি নিউজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সিদ্ধান্ত পুরোপুরি শারীরিক প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করছে।

মেসি বললেন, আমি যদি পুরোপুরি সুস্থ থাকি এবং দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারি, তাহলে বিশ্বকাপে খেলা অসাধারণ হবে বলে মনে করি। আমি চাই, দলের অন্য ফুটবলাররা যেমন কাঙ্ক্ষিত, আমিও সেখানে থাকতে চাই। কিন্তু সব কিছুই আমি ডে-টু-ডে মূল্যায়ন করে দেখছি। যখন ইন্টার মায়ামির প্রি-সিজন শুরু হবে, তখন বুঝতে পারব কী আমি পুরোপুরি প্রস্তুত কিনা। যদি মনে হয়, আমি সিদ্ধান্ত নেব।

বর্তমানে ৩৮ বছর বয়সী এই ফুটবল তারকা যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) ইন্টার মায়ামির জার্সিতে খেলছেন। ইউরোপে তার পথচলা ছেড়ে তিনি ২০২৩ সালে ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাবে যোগ দেন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে। দুই মৌসুমের সফলতা শেষে সম্প্রতি তিনি আরও তিন বছর জন্য মায়ামির সাথে চুক্তি নবায়ন করেছেন। ফুটবল বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই সিদ্ধান্তই ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে মেসির অংশগ্রহণের সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।

মেসির ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০৪ সালে, মাত্র ১৭ বছর বয়সে বার্সেলোনার সিনিয়র দলে অভিষেকের মাধ্যমে। এর পর থেকে তিনি দীর্ঘ দিন ধরে অসংখ্য ট্রফি ও ব্যক্তিগত পুরস্কার জিতেছেন, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ২০২২ বিশ্বকাপ শিরোপা।

বিশ্বকাপ নিয়ে মেসির অনুভূতি স্পষ্ট—এটি তার জীবনের স্বপ্ন ছিল। তিনি মনে করেন, পেশাদার ক্যারিয়ারে কেবল এই একটি ট্রফিই তাদের পাওয়ার বাকি ছিল। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন, তার অর্জন ও জয়ের সংখ্যা বেশ উল্লেখযোগ্য।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনার হয়ে ১৯৫ ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে করেছেন রেকর্ড ১১৪ গোল। যদি ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে মাঠে নামেন, তাহলে এটি হবে তার ষষ্ঠ বিশ্বকাপ, যা ফুটবল ইতিহাসের এক অনন্য নজির হয়ে থাকবে।