ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, পরিচালনায় থাকবে প্রশাসক

বাংলাদেশের পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ও সমস্যাাপন্ন ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই প্রবৃদ্ধির অংশ হিসেবে, মার্জার পরিচালনার জন্য একটি পাঁচ সদস্যের প্রশাসক দল গঠন করা হবে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ বোর্ড সভার শেষে মুখপাত্র মোঃ আরিফ হোসেন খান এই তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে, গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য বোর্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আফিজ হোসেন খান উল্লেখ করেন, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর বোর্ড সম্মিলিতভাবে একীভূতকরণে ঐক্যমত প্রকাশ করেছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ’ অনুসারে কাজ চালানো হবে। তবে, এই মার্জার দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া, যা সম্পন্ন হতে প্রায় দুই বছর সময় লাগবে। তবে, কার্যক্রমের মূল ধাপগুলো এখনই শেষের কাছাকাছি, এবং শিগগিরই এটির কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।

একীভূতকরণের জন্য একটি পাঁচ সদস্যের প্রশাসক টিম গঠন করা হবে, যা ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম তদারকি করবে। তবে, ব্যাংকের দৈনন্দিন পরিচালনা এখনও বর্তমান ব্যবস্থাপনা টিমের অধীনেই থাকবে। প্রতিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাদের দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়াও, তিনি জানান যে, এই প্রক্রিয়ায় ব্যাংকগুলোর পর্ষদ (বোর্ড) বাতিল হবে না, বরং ধীরে ধীরে তাদের কার্যক্রম নিষ্ক্রিয় হয়ে আসবে। প্রশাসক দল নিয়মিতভাবে তাদের অগ্রগতি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত দলের কাছে উপস্থাপন করবে।

এছাড়া, বোর্ড সভায় ব্যাংক রেজুলেশন অর্ডিন্যান্স ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্ডার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামিক ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামিক ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামিক ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংককে একীভূত করে ‘ইউনাইটেড ইসলামিক ব্যাংক’ নামে একটি নতুন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক গঠিত হবে। এর লাইসেন্স বাংলাদেশ ব্যাংক ইস্যু করবে।

উল্লেখ্য, এই প্রক্রিয়া চালুর জন্য গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে তিন দিন ধরে অনুষ্ঠিত শুনানিতে ফার্স্ট সিকিউরিটি, গ্লোবাল ইসলামিক ও ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদ একীভূত হওয়ার পক্ষে মত দেয়। তবে, সোশ্যাল ইসলামিক ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক এর বিরুদ্ধে বিরোধিতা জানায়।

প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময়ে, ৭ সেপ্টেম্বর সরকার ৩৫ হাজার কোটি টাকার মূলধন বরাদ্দ দেয়, যার মধ্যে ২০ হাজার ২০০ কোটি টাকা দিয়ে এই মার্জার প্রক্রিয়া চালানো হবে।