ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে নিহত কমপক্ষে ৩৫

ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও আল-জাওফ প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩১ জন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বুধবার এই হামলা চালানো হয় বলে নিশ্চিত করেছে আল জাজিরা। আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, এর এক দিন আগে কাতারের রাজধানী দোহার ভূখণ্ডে হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলা চালানো হয়।

ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, সানার আল-তাহরির এলাকার একটি আবাসিক ভবন, একটি চিকিৎসা কেন্দ্র এবং আল-জাওফ প্রদেশের রাজধানী আল-হাজমের সরকারী কমপাউন্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হুথি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভি দাবি করেছে, এই হামলায় সানার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি মেডিকেল সেন্টার এবং আল-হাজমে স্থানীয় সরকারি কার্যালয় লক্ষ্যবস্তু হয়। এতে বহু মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন।

হুথি মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলা প্রতিরোধের জন্য তারা আকাশ থেকে সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ব্যবহারের পাশাপাশি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে। তিনি আরো জানান, ইসরায়েলি বিমান কিছু সময়ের জন্য হামলার জন্য এগোলে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের বাধ্য করে ফিরে যেতে।

তিনি দাবি করেন, একাধিক সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ব্যবহারে তারা জায়নবাদী আগ্রাসন বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সানা ও আল-জাওফে হুথি গোষ্ঠীর সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে। এই লক্ষ্যবস্তু ছিল হুথিদের সামরিক শিবির, যোগাযোগের কেন্দ্রস্থল ও জ্বালানি ভাণ্ডার।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, এই হামলা রামন বিমানবন্দরে হুথির ড্রোন হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই চালানো হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা ישראלের ওপর আক্রমণ চালাবে, আমরা তাদের খুঁজে বের করব এবং যথাযথ জবাব দেব।