ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী বলেছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই ঢুকেছি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার পথে নানা অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে চলেছে। বিশেষ করে নির্বাচনের নিয়ম ভাঙচুরের অভিযোগে আলোচনায় এসেছেন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। তিনি জানান, তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে ভোটকেন্দ্রের সামনে উপস্থিত থাকাকালে এই কথা বলেন।

অভিযোগ রয়েছে, প্রার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কোনো বিশেষ কার্ড বা পারমিশন দেয়নি, ফলে তাকে মেয়েদের হলে অবস্থিত ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যেই তিনি বলেন, আমি এ ঘটনাকে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হওয়া ভোটের অংশ হিসেবে দেখছি এবং অভিযোগ করতে চাই না।

প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল সমর্থিত পক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে তারা অনিয়মের মাধ্যমে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এই কেন্দ্রটিতে জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন।

প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকেরা বাইরে থেকেও ভোট প্রার্থী ও প্রচারপত্র বিলি করতে দেখা যায়। কিছু নারী ভোটার এই কার্যক্রমে আপত্তি জানিয়ে প্রতিবাদ করেন, কিন্তু আবিদুল ও তার সমর্থকরা দাবি করেন, তারা ভোট চাইছেন না; তারা মূলত প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করছেন কারণ ভোটাররা এই নম্বরগুলো মনে রাখতে অসুবিধা হচ্ছে।

অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কোনো প্রার্থী কেন্দ্রে ঢুকে ভোটের জন্য প্রার্থনা বা ভোটার স্লিপ বিতরণ করতে পারবে না। এমনকি কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে এসব অনুমোদিত নয়।

প্রতিপক্ষের অভিযোগের মাঝে দেখা গেছে, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ভোটকেন্দ্রের কাছেই বুথ ও টেবিল স্থাপন করে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমরা কোনো নিয়মভঙ্গের কাজ করিনি। আমাদের হেল্প ডেস্ক কেন্দ্র থেকে অন্তত ১৫০ মিটার দূরে আছে।

অতীতে এই নির্বাচনের সময় বিভিন্ন ধরণের অনিয়মের অভিযোগ ওঠলেও, এ ফালতু অভিযোগ ও গুজব থেকে মুক্ত থাকাই এখন সবচেয়ে প্রয়োজন। নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্ব ও সতর্কতা অবলম্বন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।