ঢাকা | মঙ্গলবার | ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

জাতীয় দলে খেলতে হলে প্রথমে দেশে ফিরতে হবে, মামলা লড়তে হবে

তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান—দেশের ক্রিকেটের দুটি বড় নাম। একসময় তাদের বন্ধুত্বের গল্প শোনা গেলেও এখন তারা দুই মেরুতে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের খবরও আমাদের কাছে প্রখ্যাত। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সাকিব এক বছর ধরে দেশের বাইরে থাকছেন, অন্যদিকে বিসিবির নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত তামিম ইকবাল।

দেশান্তরিত থাকায় দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকছেন সাকিব। সম্প্রতি, সেই অবস্থাকে কি পরিবর্তন করবেন, এ প্রশ্ন উঠে এসেছে। বেশ কিছু সময় আগে থেকেই জানা যায়, তামিম বোর্ড সভাপতি হলে আবারও সাকিব জাতীয় দলে ফিরতে পারেন কি না—এ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা আছে।

সম্প্রতি ডেইলি ক্রিকেটের এক পডকাস্টে তামিম স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘উনি একজন সক্রিয় ক্রিকেটার। ক্রিকেটার হিসেবে উনি এখনও বাংলাদেশের হয়ে খেলার যোগ্য। যদি তিনি এই সময়টায় ফিট থাকেন, অনুশীলনে থাকেন এবং সেটা নির্বাচকমণ্ডলী মনে করেন, তাহলে অবশ্যই তিনি দলে ফিরে আসতে পারবেন। তবে তাকে দেশের বাইরে ফেরার বিষয়টা আমার হাতে নেই। এগুলো আইনি বিষয়, যেখানে আমার কিছু করার নেই।’

আরও উল্লেখ করেছেন, সাকিব আগে একটি এমপি পদে থাকতেন নির্দলীয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা দাখিল হয়, যার মধ্যে হত্যা মামলাও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, তামিম বলেন, ‘আমি দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। যদি সাকিব এসব মামলার মুখোমুখি হতে পারেন এবং দীর্ঘ সময়ের খেলাধুলার জন্য প্রস্তুত থাকেন, তাহলে তার জন্যই দরজা খোলা। তিনি একজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার, পর্তুগিজ বা আমেরিকান নন।’

তামিম আরও যোগ করেছেন, ‘জাতীয় দলে খেলতে হলে সাকিবকে আগে দেশে ফিরতে হবে। দেশের জন্য খেলা, অনুশীলন—allই তার নিজের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। আমি এটা বলতে পারি না যে, তিনি কি করবেন। তবে এটুকুই বলতে পারি, এসব তারই সিদ্ধান্ত। কারণ, তার ক্যারিয়ার, তার দেশ—এ সবই তার নিজস্ব বিষয়।’