ঢাকা | মঙ্গলবার | ২রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বুলবুলের লক্ষ্য, স্কুল থেকে খুঁজে বের করবেন সাকিব-তামিমদের

চট্টগ্রামে নতুন একটি আঞ্চলিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের পরিচালক আকরাম খান এবং সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টটি দেশের ক্রিকেট কাঠামোতে বিকেন্দ্রীকরণ ও উন্নয়নকে প্রচারকল্পে এক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ক্রিকেটের প্রসার ও নিয়মিত খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি করাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। যদি এই আঞ্চলিক কাঠামো সফল হয়, তবে জেলা ভিত্তিক ক্রিকেটাররা তাদের প্রতিভা প্রকাশের জন্য নিয়মিত খেলার সুযোগ পাবে, যারা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পর্যায়ের সুযোগের বাইরে থাকেন।

হাবিবুল বাশার বলেন, ‘আঞ্চলিক ক্রিকেট চালু হলে এখানকার খেলোয়াড়রা নিজেদের লিগ ও টুর্নামেন্ট পরিচালনা করতে পারবে, যা অবশেষে অনেক প্রতিভার উন্মোচন করবে। ঢাকায় সব কিছুর সুযোগ থাকলেও দেশের অন্যান্য অংশে পর্যাপ্ত সুযোগ এখনও আসেনি। এটি সবার জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। অনেক প্রতিভাবান তরুণ আছেন, যারা এখনো সুযোগ পায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘রিজিওনাল ক্রিকেট চালু হলে, হিডেন প্রতিভাবানরা আর হিডেন থাকবেন না। তারা টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে—সব ধরনের খেলা উপভোগ করতে সক্ষম হবে।’

অন্যদিকে, আকরাম খান এই টুর্নামেন্টকে ‘পাইলট প্রকল্প’ হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এই টুর্নামেন্টটি দ্রুত আয়োজন করেছি। এটা সিজন না, তবে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ভবিষ্যতের জন্য একটা দিকনির্দেশনা তৈরি করলাম।’

তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামের ১১টি জেলা আগে কখনো একসঙ্গে খেলেনি। এই আয়োজনটি শুধু চট্টগ্রামের ক্রিকেটারদের জন্য নয়, এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্যও গৌরবের বিষয়।

বিসিবির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ভবিষ্যতের সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে স্কুল ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেওয়ার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয়ভাবে হয়, কিন্তু আঞ্চলিক ক্রিকেটের সঙ্গে সিঙ্ক্রোনাইজ করলে এটি আরও বেশি ছড়িয়ে পড়বে। বিকেন্দ্রীকরণ শুধুমাত্র প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র নয়, প্রতিটি জেলায় ক্রিকেটের নিজস্ব পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য।

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দিনের তামিম, সাকিব, মুশফিক বা রিয়াদ সবাই এখনো স্কুলেই রয়েছে। আমাদের দায়িত্ব কীভাবে এই প্রতিভাদের সঠিক পথে ডেকে আনা যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। এজন্য স্কুল ক্রিকেটকে আমরা নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা করছি।’