ঢাকা | রবিবার | ৩০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সিনেমা বানিয়ে এত টাকা পাননি, ইউটিউবে বিপুল আয় ফারাহ খানের

বলিউডের জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারাহ খান সম্প্রতি ইউটিউব ভ্লগিং থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ অর্জন করছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ইউটিউব থেকে তাঁর আয় সিনেমা পরিচালনার মাধ্যমে এক বছরে উপার্জিত অর্থের চেয়েও বেশি।

ফারাহ খানের ইউটিউব চ্যানেলে বেশিরভাগ ভিডিও তাঁর বাবুর্চি দিলীপের সঙ্গে রান্নার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকে, যা দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মূলত তিনি শুরুতেই এই চ্যানেলকে খাদ্য ও রন্ধনশিল্প বিষয়ক শো হিসেবে গড়েছেন।

অভিনেত্রী সোহা আলী খানকে নিয়ে এক পডকাস্টে ফারাহ খানের বলেন, তাঁর টিমের অনুরোধে তিনি ইউটিউব চালু করেন। তিনি বলেন, ‘আমার এক বছরেও এত টাকা উপার্জন করিনি, যতটা এই এক বছরে আয় করেছি।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটি আমার নিজের চ্যানেল, তাই কেউই আমাকে বলতে পারে না যে কোন কনটেন্ট কাটাতে হবে বা কোন অতিথিকে আনতে হবে। আমি চাই সকলের মধ্যে সমতা থাকুক, ভেদাভেদ যেন না ফুটে ওঠে।’

ফারাহ খানের এই জনপ্রিয়তা ও বিপুল সাবস্ক্রাইবারের জন্য তিনি ইউটিউবের সিলভার প্লে বোতাম অর্জন করেছেন।

২০১৩ সালে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ সিনেমার পরে তিনি আর কোন সিনেমা পরিচালনা করেননি। তবে কেন তিনি এবার কনটেন্ট ক্রিয়েটর হলেন, সেই কারণও ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি জানান, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে তিনি ইউটিউব চ্যানেল চালু করেন। তাঁর এই উদ্যোগ দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমানে তাঁর ইউটিউবে প্রায় ৩০ লাখ (তিন মিলিয়ন) সাবস্ক্রাইবার রয়েছে এবং ইনস্টাগ্রামে ৪.৫ মিলিয়ন (৪৫ লাখ) ফলোয়ার।

একটি টকশোতে ৬০ বছর বয়সী ফারাহ খানের বলেছিলেন, ‘যখন আমার সিনেমার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তখন আমি ভাবলাম, ইউটিউব শুরু করি। কারণ আমি আয় নিয়ে খুব সচেতন ছিলাম। আমার তিন সন্তান আগামী বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে—এটি খুবই ব্যয়বহুল। তাই আমি মজার ছলে এই চ্যানেলটি শুরু করলাম, আর সেটি জনপ্রিয়তা পেল।’

প্রসঙ্গত, ফারাহ খানের জীবনযাত্রা ও ক্যারিয়ার নিয়ে তাঁর ট্রিপলেট সন্তান সিজার, অন্ন ও দিবারের সঙ্গে শিরোনামে রয়েছে। তিনি ‘ম্যায় হুঁ না’, ‘ওম শান্তি ওম’ ও ‘তিস মার খান’ এর মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন।