ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

নিলামে বিক্রি হয়নি, সাবেক এমপিদের ৩১ বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর

বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সাবেক ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি এখন জনস্বার্থে ব্যবহারের জন্য সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই গাড়িগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছিল, তবে এই বিষয়টি এখন শুল্ক ও কর পরিশোধের বিলম্বের কারণে নিলামে বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।

আজ, বুধবার (১২ নভেম্বর), এক বিশেষ আদেশে এনবিআর উল্লেখ করে, এই গাড়িগুলোর শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না এবং আমদানিকারকরা স্বাভাবিকহারে শুল্ক-কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো খালাস করতে পারবেন। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নির্দেশনা অনুযায়ী, পণ্য খালাসের জন্য শুল্কায়ন এবং কর পরিশোধের নিয়মাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

শুল্কেই আমদানি করা এই ৩১ গাড়ির মোট শুল্ক এবং করের পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। এর মধ্যে একক গাড়ির সর্বোচ্চ শুল্কের পরিমাণ ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।

শুল্ক-কর সম্পন্ন হওয়ার পরও, গাড়িগুলোর মূল্যায়ন ও নিলামে অংশগ্রহণকারী কেউ বিড না করায় বিক্রি সম্ভব হয়নি। ফলে, আপাতত এই গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি না করে আশু প্রয়োজনে সরকারের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে, অতি মূল্যবান এই গাড়িগুলোর ব্যবহারের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করার জন্য এই বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।

অতঃপর, ভবিষ্যতে যদি আমদানিকারকগণ যথাযথ শুল্ক ও কর পরিশোধ করে গ্লাসগুলো আইনানুগভাবে খালাস করেন, তবে চট্টগ্রাম কাস্টমস শুল্কায়ন ও মূল্য নির্ধারণের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাতে অনুমতি দেবে। এরপর, শুল্ক ও করের সম্পূর্ণ পরিশোধের পর গাড়িগুলো সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে ফেরত দেওয়া হবে।