ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

অফসাইডের বিদায় দিয়ে বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা

বি গ্রুপের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই হয়। এ ম্যাচে জয় লাভ করে শ্রীলঙ্কা, যে তাদের সামনে বাংলাদেশের মতো শক্তিশালী দলের সঙ্গে সুপার ফোরে স্থান করে দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। এই সফলতার মূল কারিগর ছিলেন নুয়ান থুসারা, যিনি চার উইকেট শিকার করেন, এবং কুশল পেরেরা, যিনি হাফ সেঞ্চুরি করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। শ্রীলঙ্কার এই জয়ে তারা প্রথমে নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছায় এবং পরবর্তী ধাপে আরো এগিয়ে যাওয়ার পথে নিজেদের দৃঢ়সংকল্প প্রকাশ করে।

আফগানিস্তানের শুরুটা খুবই হতাশাজনক ছিল। ওপেনিং জুটি মাত্র ২৬ রানেই ভেঙে যায়। রহমত উল্লাহ গুরবাজ ৮ বলে ১৪ রান করে শর্ট থার্ড ম্যানের ক্যাচ দেন, এরপরই প্রমোশনের ফলে ট্র্যিকিতুম জানাতকে বোল্ড করে দেন থুসারা। তৃতীয় ওভারে এসে সেদিকউল্লাহ অতলকেকে আউট করেন থুসারা, ফলে প্রথম ৪০ রানে ৩ উইকেট হারায় আফগানরা।

পাওয়ার প্লে শেষে আফগানিস্তান ৩ উইকেটে ৪৫ রান করে, তবে এরপরই আরও বিপর্যয় শুরু হয়। তারা بسرعة আরও ৩ উইকেট হারায়, ডারউইশ রাসুলীকে থামান দুশমান্থ চামিরা। কুশাল পেরেরা শর্ট বল টপ এজ করে ক্যাচ দেন, এর ফলে তিনি মাত্র ৯ রান করেন। এর পর আজমতউল্লাহ ওমরজাই বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি, দ্রুত আউট হন স্টাম্পে আঘাত পেয়ে।

অফরুলাই বাজে স্নায়ুচাপে পড়ে থাকে আফগানিস্তান, যেখানে এক প্রান্তে ইব্রাহীম জাদরান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তিনি বেশিদূর যেতে পারেননি। মূলত সিনিয়র অলরাউন্ডার রশিদ খান এবং মোহাম্মদ নবি জুটি পাকড়াও করে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণকে শক্তিশালী করে। শেষ ওভারটিতে আফগানিস্তান রেটে ১৬৯ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারায়, যেখানে নবি ২২ বলে ৬০ রান করেন, পঞ্চম বোলার হিসেবে সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই করেন। শেষ বলে রান আউট হন তিনি, কিন্তু এর মধ্যেই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৫০ প্লাস রানের ইনিংস উপহার দেন। এই রেকর্ড সংগ্রহের ফলে আফগানিস্তান তাদের সংগ্রহ দাঁড় করায় ১৬৯ রান।