ঢাকা | সোমবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

পাকিস্তানি কিংবদন্তি সূর্যকুমারকে ‘শূকর’ বললেন

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের মধ্যে সাধারণত উত্তেজনা থাকেই, তবে এবার এই উত্তেজনার মাঝে একটি নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সব কিছু শুরু হয় গত রোববার দুবাইয়ে এশিয়া কাপের এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে, যেখানে ভারত পাকিস্তানকে হারালো। এই জয়ের নায়ক ছিলেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু ম্যাচের পরের ঘটনাগুলি যেন আলোচনার শিরোনামে উঠে এসেছে, তা খেলার উত্তেজনাকে ছাপিয়ে গেছে।

জয়ের পর সূর্যকুমার খেলোয়াড়রা সঙ্গে হাত মিলাননি, সেটি নিয়ে অনেকেরই সমালোচনা হয়েছে। টসের সময়ও পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলী আগার সঙ্গে তিনি কুশল বিনিময় করেননি। এই আচরণকে অনেকেই অখেলোয়াড়সুলভ বলে সমালোচনা করেছেন।

এই বিতর্কের মাঝে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ ইউসুফের হাত ধরে। এক টিভি আলোচনায় তিনি সূর্যকুমারকে ‘শূকর’ বলে গালি দেন। সঞ্চালক বারবার তাকে থামানোর চেষ্টা করলেও, ইউসুফ নিজেও যেন থামতে রাজি হননি। তিনি বলেছিলেন, ‘ভারত সিনেমার দুনিয়া থেকে বের হতে পারছে না। তারা আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির মাধ্যমে জিতছে। এটা নিঃসন্দেহে লজ্জাজনক!’ এরপর তিনি আরও গালাগাল করতে থাকেন।

এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। ভারতের ক্রিকেট ভক্তরা ইউসুফের এই অশোভন আচরণের জন্য রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

ঘটনার দীর্ঘপরবর্তী সময়ে, ইউসুফ এক্স-এ (সাবেক টুইটারে) একটি পোস্টে বলেন, ‘আমি কাউকে অসম্মান করতেই চাইনি। আবেগে তার কথাগুলো বলে ফেলেছি। তবে এরকম পরিস্থিতি মনে করে দেখুন, যখন ইরফান পাঠান আফ্রিদিকে ‘ঘেউ ঘেউ করা কুকুর’ বলে ডেকেছিলেন, তখন ভারতের মিডিয়া সেটাকে প্রশংসা করেছিল!’

ইউসুফ যে ঘটনা উল্লেখ করছেন, সেটি ২০০৬ সালের পাকিস্তান সফরে ইরফান পাঠানের এক পুরনো সাক্ষাৎকার থেকে নেওয়া। সেখানে পাঠান বলেছিলেন, ‘আফ্রিদি অনেকক্ষণ ধরে ঘেউ ঘেউ করছে, নিশ্চয়ই কুকুরের মাংস খেয়েছে।’ এরপর থেকে আফ্রিদি আর কখনো তার সঙ্গে কোনো বাকবিতণ্ডা করেননি। এই ঘটনাগুলি ফুটে উঠেছে শুধু ক্রীড়া নয়, বরং রাজনৈতিক ও সামাজিক বিতর্কের পর্যায়ে।