ঢাকা | মঙ্গলবার | ২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সরকারের কাছে ৬ মাসে ১.২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলোর মাধ্যমে গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মোট ১.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। আজ (০৮ আগস্ট) রাজধানীর প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বিনিয়োগ সমন্বয় কমিটির সভায় এই তথ্য জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা ও আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে আসা বিনিয়োগ প্রস্তাবের মধ্যে একা বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৬৫ মিলিয়ন ডলার বলে জানানো হয়। এছাড়া, স্থানীয় বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার, এবং যৌথ বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে মোট ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে, যা প্রায় ৩৩০ মিলিয়ন ডলার। সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান থেকেও উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে।

বিডার প্রতিনিধির ভাষ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত এই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ২৩১ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প চূড়ান্তভাবেই অনুমোদন পেয়েছে। অর্থাৎ, প্রথম দফার প্রস্তাব থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে রূপান্তর হয়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। বিশ্বজুড়ে এই রূপান্তর হার গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশের কাছাকাছি বলে সভায় জানানো হয়।

এছাড়াও, চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারের জট সমস্যা কমানোর উপর আলোচনা হয়েছে। সেখানে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কন্টেইনার দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকছে। বর্তমান সরকারের সময়ে কন্টেইনারের জট কমানোর জন্য ইতিমধ্যে গত দুই মাসে ১ হাজার কন্টেইনার নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। আরেকটী লক্ষ্যে, আগামী মাসে আরও ৫০০ কন্টেইনার নিলামে তোলার কাজ চলমান রয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, এই নিলামের পণ্য হস্তান্তরের কাজও সচল।

বিনিয়োগ প্রক্রিয়া আরও গতিশীল করতে এবং আরও বেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ বিজনেস পোর্টাল (বিবিপি) চালুর অগ্রগতি আলোচনা হয়। জানানো হয়, এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এসেছে এবং আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সফট লঞ্চিং হবে। এর পুরোপুরি কার্যকারিতা setembro মাসের শেষের দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তাগণ, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।