ঢাকা | মঙ্গলবার | ২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকবে না, রিজভীর দাবি

বহুল আলোচিত সংখ্যানুপাতिक প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির প্রত্যেকটি দিক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, যদি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়, তাহলে জনগণের হাতে প্রার্থী নির্বাচন করার সুযোগ থাকবে না। বরং তাদের ভোট দিতে হবে দলের প্রতীকে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, এই পদ্ধতি রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও বেশি কর্তৃত্ববাদী করে তুলতে পারে। রিজভী বলেন, দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি কী, তা সম্পর্কে অবগত নয়, কারণ আগে কখনোই দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থায় এটি দেখা যায়নি। হঠাৎ কিছু কিছু রাজনৈতিক দল এই পদ্ধতির কথা বলছে, যা আসলে নির্বাচনের স্বাভাবিক ধারাকে বিঘ্নিত করতে চায়।

শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের লোকনাথ ট্যাংকের পাশে ময়দানে জেলা বিএনপি’র নবায়ন এবং প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, কিছু দল পিআর ও সংস্কারের কথাই বলছে মানে তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচনে বিলম্ব সৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে তিনি বলেন, দেশের শিক্ষিত, শ্রমজীবী ও ভদ্র সমাজের মানুষ বিএনপির সদস্য হবে। তবে কেউ চাঁদাবাজ বা দখলবাজ হলে তার স্থান নয় দলের মধ্যে। যারা গণতন্ত্রের গলা টিপে রেখেছে, তারা বিএনপি’র সদস্য হতে পারবেন না। দলের যোগ্য সদস্যরা হবে সমাজের গুণীজন।

রিজভী জানান, এই দেশটি ৩০ লাখ মা-বোনের ত্যাগে স্বাধীন হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, সাড়ে ৮ লাখ বছর আগে মানব সমাজে যে হিংস্রতা ছিল, তা শেখ হাসিনা চালিয়েছিল বাংলাদেশের উপর। বাংলাদেশের মানুষ তাকে পরাজিত করেছে এবং দেশের পুনর্গঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপি’র অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সেলিম ভূঁইয়া, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মোস্তাক মিয়া, জহিরুল হক খোকন, সহ-সভাপতি এবিএম মোমিনুল হক, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল মনসুর মিশন, জেলা শাখার নবায়ন কার্যক্রমের টিম লিডার আহসান উদ্দিন খান শিপনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

অনুষ্ঠানের শেষে অতিথি নবায়ন ও সদস্য সংগ্রহের কার্যক্রমের জন্য ফর্ম বিতরণ করেন। পাশাপাশি, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে মিছিল সহকারে উপস্থিত হয়।